আন্তর্জাতিক

সবচেয়ে দীর্ঘজীবী সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার হসপিস কেয়ারে

  প্রতিনিধি ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ , ১১:৩৩:০৮ প্রিন্ট সংস্করণ

সবচেয়ে দীর্ঘজীবী সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার হসপিস কেয়ারে———————————————————হাকিকুল ইসলাম খোকন,যুক্তরাষ্ট্র সিনিয়র প্রতিনিধিঃমার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার জর্জিয়ায় তার বাড়িতে হসপিস কেয়ার পাচ্ছেন। কার্টার সেন্টারের বরাতে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সিএনএন।১৯৭৭ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করা কার্টার নানা ধরনের শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন। যার মধ্যে একটি মেলানোমা বা স্কিন ক্যানসার।যুক্তরারেষ্ট্রর সাবেক প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার পরিবর্তে এখন থেকে বাড়িতেই বিশেষ ব্যবস্থায় সেবা নেবেন; ‘হসপিস কেয়ারে’ থাকবেন তিনি।খবর বাপসনিউজ।

৯৮ বছর বয়সী কার্টারের অলাভজনক ফাউন্ডেশন কার্টার সেন্টার স্থানীয় সময় শনিবার এ তথ্য দিয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

সাবেক এই প্রেসিডেন্টের ফাউন্ডেশন বলছে, জীবনের শেষ মুহূর্তগুলো তিনি বাড়িতে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কাটাবেন। এ নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি প্রতিষ্ঠানটি।

নিরাময়-অযোগ্য রোগী এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের শারীরিক ও মানসিক যন্ত্রণা লাঘব করার একটি সমন্বিত স্বাস্থ্যব্যবস্থা হলো হসপিস কেয়ার। এর মাধ্যমে রোগীর অবশ্যম্ভাবী মৃত্যুকে বেদনাহীন, মর্যাদাপূর্ণ করার পাশাপাশি পরিবারকে এই সংকট মোকাবিলায় সর্বাত্মক সহায়তা দেয়া হয়। মানসিক, শারীরিক, সামাজিক ও আত্মিক; অর্থাৎ সামগ্রিকভাবে দেয়া হয় এই সহায়তা।

১৯৭৭ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করা কার্টার নানা ধরনের শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন। যার মধ্যে একটি মেলানোমা বা স্কিন ক্যানসার।

কার্টার যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বয়স্ক জীবিত সাবেক প্রেসিডেন্ট। নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী কার্টার তার স্ত্রী রোজালিনের সঙ্গে জর্জিয়ার প্লেইন্সে থাকেন। এখন কার্টার যে গ্রামে বসবাস করছেন, সেই গ্রামেই তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন। গভর্নর হওয়ার আগে চিনাবাদাম চাষী হিসেবে কাজ করেছিলেন সেখানেই। পরে ডেমোক্রেটিক মনোনীত প্রার্থী হিসাবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন তিনি।

কার্টার সেন্টার টুইটারে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ধারাবাহিকভাবে হাসপাতালে থাকার পর, সাবেক প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার শনিবার তার পরিবারের সঙ্গে বাড়িতে অবশিষ্ট সময় কাটানোর এবং অতিরিক্ত চিকিৎসা হস্তক্ষপের পরিবর্তে হসপিক পরিচর্যা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’

প্রেসিডেন্ট থাকার সময় কার্টার মানবাধিকার এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলেন। প্রেসিডেন্টের প্রথম দুই বছরে তার ইসরায়েল এবং মিশরের মধ্যে একটি শান্তি চুক্তির মধ্যস্থতা ছিল প্রশংসনীয়।

তবে তার প্রশাসন অসংখ্য বাধার সম্মুখীন হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর ছিল ইরানে মার্কিন জিম্মিদের উদ্ধার করা এবং ১৯৮০ সালে ৫২ বন্দি আমেরিকানকে উদ্ধারের বিপর্যয়কর ব্যর্থ প্রচেষ্টা।

ওই বছরের নভেম্বরে রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী রোনাল্ড রিগান ভোটে কার্টারকে পরাজিত করেন। তাকে একক মেয়াদে অব্যাহতি দেন। রিগান কট্টর রক্ষণশীলতার জোরালো সমর্থন নিয়ে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।জিমি কার্টার জীবনের বেশিরভাগ সময়ই কাটিয়েছেন প্লেইনসে। ১৯৮২ সালে জিমি কার্টার এবং তার স্ত্রী রোজলিন (৯৫) মিলে কার্টার সেন্টার গড়ে তোলেন। প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বজুড়ে শান্তি ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় অবদানের স্বীকৃত হিসেবে ২০০২ সালে নোবেল পায়। প্রেসিডেন্টের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর কার্টার সেন্টার প্রতিষ্ঠা করে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে বেড়িয়েছেন তিনি। তবে কোভিডের সময় থেকেই তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে।

আরও খবর

Sponsered content

BengaliEnglishHindi