আন্তর্জাতিক

ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাসে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ পালিত।

  প্রতিনিধি ৯ মার্চ ২০২৩ , ১২:৩২:৩৩ প্রিন্ট সংস্করণ

ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতা বাসে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ পালিত।

হাকিকুল ইসলাম খোকন,যুক্তরাষ্ট্র সিনিয়র প্রতিনিধিঃ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে গত ৭ মার্চ, মঙ্গলবার ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযোগ্য মর্যাদায় ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ পালিত হয়েছে।খবর বাপসনিউজ।সকালে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান কর্তৃক দূতাবাস প্রাঙ্গণে আনুষ্ঠা নিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দূতা বাসের দিনের কর্মসূচি শুরু হয়।এ সময় মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।পরে দূতা বাসের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে রাষ্ট্র দূত দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু কর্নারে অবস্থিত জাতির পিতার আবক্ষ মূর্তিতে পুষ্প স্তবক অর্পণ করে তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনান মিনিস্টার (পলিটিক্যাল-1)ও দূতালয় প্রধান দেওয়ান আলী আশরাফ এবং কাউন্সেলর (পলিটিক্যাল-3) শামীমা ইয়াসমিন স্মৃতি। পরে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের উপর একটি ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়।দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে পরে বঙ্গবন্ধু অডিটোরিয়ামে এক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।আলোচনায় অংশ নিয়ে রাষ্ট্রদূত ইমরান ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান এবং বঙ্গবন্ধুর মহাকাব্যিক ভাষণের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।তিনি ৭ই মার্চকে বাঙালি জাতির ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন হিসেবে আখ্যা- য়িত করে বলেন,১৯৭১ সালের এই দিনে ঢাকার তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু সেই গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ প্রদানের মাধ্যমে কার্যত স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষণা দেন।তিনি বলেন ঐতিহাসিক এই ভাষণের গুরুত্ব অনুধাবন করে জাতি সংঘের শিক্ষা,বিজ্ঞান ও সাংস্কৃ তিক সংস্থা(ইউনেস্কো)এর বিশ্বের গুরুত্ব পূর্ণ প্রামাণ্য ঐতিহ্যের তালিকা’মেমোরি অফ দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল’ রেজিস্টারে অন্তর্ভুক্ত করেছে।রাষ্ট্রদূত ইমরান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্য মুক্ত সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়তে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করার এবং নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার অনুরোধ জানান।বঙ্গবন্ধুর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত এবং দেশের অব্যাহত শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে এক বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে দিনের কর্মসূচি শেষ হয়।উক্ত অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ফার্স্ট সেক্রেটারি আতাউর রহমান।

আরও খবর

Sponsered content

BengaliEnglishHindi