সারাদেশ

এ বছর পবিত্র হজ পালন করতে পারবেন ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন।

  প্রতিনিধি ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ , ৮:৪৮:৫৮ প্রিন্ট সংস্করণ

সরকারি ব্যবস্থাপনায় চলতি মৌসুমে হজের খরচ গত বছরের চেয়ে প্রায় এক লাখ বাড়িয়ে ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার। মিনার তাঁবুর সি শ্রেণির মূল্য হিসাবে এই সরকারি প্যাকেজ নির্ধারণ করা হয়।
সচিবালয়ে গতকাল বুধবার হজ প্যাকেজ-২০২৩ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে হজ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত নির্বাহী কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খানের সভাপতিত্বে সভা শেষে প্রতিমন্ত্রী নিজেই সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ।
ধর্ম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মিনার তাঁবুর অবস্থানসংক্রান্ত শ্রেণি অনুযায়ী বেসরকারি এজেন্সিগুলো সরকারি প্যাকেজের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নিজ নিজ হজ প্যাকেজ ঘোষণা করবে। তাঁবুর অবস্থান ছাড়া অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা সরকারি ব্যবস্থাপনার প্যাকেজের মতো হতে হবে।
বেসরকারি ব্যবস্থাপনার খরচ বিষয়ে হজ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) সভাপতি শাহাদাত হোসাইন তসলিম বলেন, তারা একটা বা দুইটা প্যাকেজ ঘোষণা করতে পারেন। সরকারি খরচের বেশি তারা প্যাকেজ ঘোষণা করবে না। প্লেন ভাড়া নিয়ে হাব সভাপতি বলেন, যে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে তা আরো কম হওয়া উচিত ছিল। আরো সহনীয় পর্যায়ে থাকা উচিত ছিল। আমি মনে করি হজযাত্রীদের প্লেন ভাড়া নির্ধারণ করার এখতিয়ার যদি শুধু উড়োজাহাজ সংস্থাগুলোর ওপর নির্ভর করে, তারা বাণিজ্যিক সংগঠন, তারা নিজেরাই যদি নিজেদের ভাড়া নির্ধারণ করে- তাহলে এটা ন্যায় হলো না। টেকনিক্যাল কমিটির মাধ্যমে প্লেন ভাড়া নির্ধারণ করলে আরো কম হতো। আমি প্রস্তাব করেছি, এ বছর ডেডিকেটেড ফ্লাইট ছাড়া হজযাত্রী বহন করতে পারবে না। তা সিদ্ধান্ত হয়েছে।
জানা গেছে, আগের বছর হজের প্যাকেজ ছিল দুটি। এর মধ্যে প্যাকেজ-১ এর খরচ ছিল ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৩৪০ টাকা আর প্যাকেজ-২ এ ৫ লাখ ২১ হাজার ১৫০ টাকা। সেবারও খরচ বেড়েছিল আগের বছরের চেয়ে ৫৯ হাজার টাকা। এবার সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজের প্যাকেজ থাকছে একটিই। গতবারের প্যাকেজ-১ এর তুলনায় এবার বেশি পড়বে ৯৬ হাজার ৬৭৮ টাকা। প্যাকেজ-এর তুলনায় খরচ বেশি হবে ১ লাখ ৬১ হাজার ৮৬৮ টাকা।
প্রসঙ্গত, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২৭ জুন সৌদি আরবে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে গত ৯ জানুয়ারি রাজকীয় সৌদি সরকার ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় হজ চুক্তি ২০২৩ স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী এ বছর হজযাত্রীর কোটা ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন নির্ধারিত হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন পবিত্র হজ পালন করতে পারবেন। এ বছর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে সৌদি আরবে গমনকারী শতভাগ হজযাত্রীর প্রি-অ্যারাইভাল ইমিগ্রেশন ‘মক্কা রোড চুক্তি’ অনুযায়ী এ বিমানবন্দরেই অনুষ্ঠিত হবে।

আরও খবর

Sponsered content

BengaliEnglishHindi