সিরাজগঞ্জের তাড়াশে চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর জালিয়াতি মামলায় “গ্রাম আদালত” অফিস সহকারী কারাগারে।

 

দৈনিক জাতির সময় 

 

এস.এম.আরিফ আজিজ,তাড়াশ:

মোঃ আব্দুল হান্নান সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলার তালম ইউনিয়নের তারাটিয়া গ্রামের আব্দুস ছাত্তার ফকির এর ছেলে ও ইউনিয়ন যুবলীগের সহ সভাপতি।বৃহস্পতিবার (১৯মে)দুপুরের সময় সিরাজগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের মাননীয় বিচারক   মহোদয় শাহদত হোসেন এ আদেশ দেন।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন,জেলা আইনজীবী সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শহিদুল ইসলাম লিটন।

আদালতর নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, চেয়ারম্যানের সীল স্বাক্ষর জালিয়াতি করে চারিত্রিক সনদ,জন্ম সনদের বয়স (কম-বেশি),গ্রাম আদালতের ফরম-২ মামলার রেজিস্ট্রি ও ফরম-১৫ ফিস জরিমানা রেজিস্ট্র ও এন্ট্রি বহিঃসহ সকল বহিঃতে একাধিক স্বাক্ষর জাল- জালিয়াতি করে অনেক দিন যাবৎ অবৈধ টাকা আয় করেছেন এবং তার নামে বেনামে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে এলাকাবাসীর তথ্য মতে জানাগেছে।

এ ছাড়া ও তিনি পরিকল্পিত ভাবে সুনাম ধন্য সাবেক চেয়ারম্যানের সুনাম ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করেছেন বলে দৈনিক জাতির সময় পত্রিকার প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন।উক্ত ঘটনায় তালম ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান  মোঃ আব্বাছ-উজ-জামান বাদী হয়ে গত ৪ মার্চ ২১ তাড়াশ থানায় মামলা দায়ের করেছেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে।যার মামলা নম্বর৩৩/২১.

বাদী আব্বাছ-উজ-জামান বলেন, আমি চেয়ারম্যান থাকা কালে গ্রাম আদালতের সহকারী আব্দুল হান্নান আমার স্বাক্ষর নকল করে বিভিন্ন জাল জালিয়াতির কাজ করে আমার সুনাম ক্ষুন্ন করেছেন বলে আমি মনে করি।তার জালিয়াতির বিষটি নজরে এলে  আমি আইনের প্রতি গভীর ভাবে শ্রদ্ধা রেখেই তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছি।তিনি আরে বলেন,আমি এই কুখ্যাত প্রতারকের উপযুক্ত শাস্তি চাই।

এ নিয়ে সিআইডি পুলিশ তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর থেকে অভিযুক্ত আব্দুল হান্নান প্রথমে মামলা প্রত্যাহার করার জন্য নানা ভাবে চাপ প্রদান করেন।পরে হান্নানের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট বের হলে তার বাপ চাচাদের দিয়ে সমাজচুতের নাটক উপস্থাপন করে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে আমাকে পেশার দেয় মামলা প্রত্যাহার করার জন্য বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিচ্ছে বলে মামলার বাদি অভিযোগ করেছেন।বাদীর আইনজীবী শহিদুল ইসলাম লিটন বলেন,মো. আব্দুল হান্নান আদালত আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন।আদালত শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

BengaliEnglishHindi