প্রচ্ছদ » আইন-আদালত » তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গায়েব হওয়া ৮লক্ষাধিক টাকার তদন্তের হদিস মিলেনি দীর্ঘ ২৭দিনে।
তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গায়েব হওয়া ৮লক্ষাধিক টাকার তদন্তের হদিস মিলেনি দীর্ঘ ২৭দিনে।
প্রতিনিধি
২৫ জানুয়ারি ২০২৩ , ১:৪৭:৫০
প্রিন্ট
সংস্করণ
তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গায়েব হওয়া ৮লক্ষাধিক টাকার ঔষধের তদন্ত শেষ হয়নি দীর্ঘ ২৭ দিনে।
তাড়াশ উপজেলা প্রতিনিধি:সিরাজ গঞ্জের তাড়াশ উপজেলা ৫০শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্টোর থেকে ৮ লক্ষাধিক টাকার মন্টিলুকাস্ট গ্রুপের ঔষধ গায়েব হবার ২৭দিন অতিবাহিত হলেও এ সংক্রান্ত ঘটনার এখন পর্যন্ত তদন্ত প্রতিবেদন জমা হয়নি।ঔষধ গায়েবের ঘটনায় গত ২৯ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে ডেপুটি সিভিল সার্জন মো.মোস্তফা মঈন উদ্দিনকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।তদন্ত কমিটি ওই দিনই তাড়াশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেন।দফায় দফায় তদন্ত করলেও ঘটনার আজ ২৭দিন অতিবাহিত হলেও তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারেননি তদন্ত কমিটি।এর মধ্যে গায়েব হওয়া ঔষুধও উদ্ধার হয়েছে কিনা সে বিষয়ে কেউ মুখ খুলছে না।তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্যও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার মো: মনোয়ার হোসেন বলেন,ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহের দিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঔষধ রাখার জন্য স্টোর স্থানান্তরিত করা হয়। তারপর ঔষুধ হাল হালনাগাদ করার সময় ঔষুধের তথ্যের মিল না থাকায় ঔষধ চুরির ঘটনাটি ধরা পরে।তাড়াশ বাজারের প্রবীর সরকার নামে একজন ঔষধের দোকানদার বলেন,প্রতিটি মুন্টিলুকাস গ্রুপের ঔষুধের মূল্য বাজারে দাম ১৫ টাকা।অর্থাৎ ৫২হাজার৫৮৪টি ট্রাইলক ঔষুধের দাম ৮ লাখ ৪১ হাজার ৩৪৪ টাকা। লুমনার দাম ট্রাইলকের চেয়ে ১ টাকা করে কম।এদিকে বিগত প্রায় ৬ মাস যাবৎ মন্টিলুকাস্ট গ্রুপের ট্রাইলক(১০এম জি)ও লুমনা(১০এম জি)ঔষুধ হাস পাতাল থেকে রোগীদের দেওয়া হয়নি।বিশেষ করে শীতের সময় শ্বাসকষ্ট জনিত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পায়।বাধ্য হয়ে ফার্মেসি থেকে ঔষুধ কিনে খেতে হচ্ছে রোগীদের।আজমল হোসেন, রাহেলা খাতুন ও কোবাদ আলী নামের তিন জন শ্বাস কষ্টের রোগী বলেন, ”স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার ব্যবস্থাপত্রে শ্বাস কষ্ট জনিত কারণে ওই গ্রুপের ঔষুধ লিখলেও মন্টিলুকাস্ট গ্রুপের ট্রাইলক (১০)বা লুমনা(১০)ঔষুধ ওই সময় থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছিল না।”সাধারণত অধি কাংশ গরীব লোকজন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসলে তাদের বাহিরে থেকে ঔষুধ কিনে খেতে হয়েছে।সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে যে, ২০২১-২২ অর্থ বছরে হাসপাতালের জন্য ঔষুধ,সার্জিক্যাল যন্ত্রপাতি,গজ ব্যান্ডেজ তুলা ও আসবাবপত্র সর বরাহের জন্য ৪৩লাখ টাকার কার্যাদেশ দেওয়া হয় ৪টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে। তারপর এএ এন্টারপ্রাইজ ও আমেনা ট্রেডার্স মন্টিলুকাস্ট গ্রুপের ট্রাইলক (১০)ও লুমনা (১০)ঔষুধ তাড়াশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরবরাহ করেন।ঔষুধ গায়েব হয়ে যাওয়ার বিষয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্টোর কিপার শাহাদত হোসেনের বক্তব্য চাইলে স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলার জন্য অনুরেধ করেন।এ বিষয়ে আরও কিছু জানতে চাইলে তিনি তড়ি-ঘড়ি করে স্টোরের দরজা লাগিয়ে আড়ালে চলে যান।এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি প্রধান সিরাজগঞ্জ সিভিলে সার্জন অফিসের ডেপুটি সিভিল সার্জন মো:মোস্তফা মঈন উদ্দিন,তদন্ত কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন সিভিল সার্জন কার্যালয় এর মেডিকেল অফিসার মো:রিয়াজুল ইসলাম ও সিরাজ গঞ্জ বক্ষব্যাধি হাস পাতালের জুনিয়র কনসালট্যান্ট মো: ফারহান ইমতিয়াজ।এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটি প্রধান বলেন,গত ২৯ ডিসেম্বর তদন্ত কমিটি গঠনের পর ওই দিনই তদন্ত কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।যা এখনও তদন্তাধীন।এপ্রসঙ্গে সিরাজগঞ্জ এর সিভিল সার্জন ডা:রামপদ রায় বলেন,তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পরে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।উক্ত ঘটনার সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থার দাবি করেছেন তাড়াশ উপজেলার সচেতন মহল।
আরও খবর
Sponsered content